ক্ষেতের আ’লে দাঁড়িয়ে আছে সেই পুরাতন আমগাছ সারি সারি রাখাল কোন এক বসিয়া আছে ইহাদেরি ছায়ায়,এক রূপকথার রাজকন্যার লাগি,বাজাইছে বাঁশিটি তারি!
বিলের পানিতে মাছ মারিতেছে ঘাঁই, বাঁশের কঞ্চি এক বাঁকা হয়ে আছে ঝিলের পানিতে কোন এক কাদাপানির দেশে, তাহার ওপরে দুলিতেছে মাছরাঙা এক রঙিন স্বপ্ন পাখায় মেখে,ঠোঁটে নিয়ে মীনেরে শেষে!
বউটির সাথে ছোট শিশুটি করিছে সিনান, ঘাটের পারে রাখিয়াছে ছড়ায়ে কলসী,বাসন-কোশন,রঙিন কাপড় তার! ছিটাইতেছে জল দুই কিশোরী সখি একে অপরে, হাসিতেছে,ডুবিতেছে,ভাসিতেছে আর!
ভিতর বাটিতে বাঁধানো কুয়ার উপরে ঝুঁকিয়া পড়িয়া বালতিতে দড়ি বাঁধি পানি ঐ তুলিতেছে কোন এক বধূ আরো ঝুঁকিয়া কিশোরী ননদিনী হাসিয়া গাহিয়া শব্দ করিতেছে বারবার প্রতিধ্বনি শুনিবারে শুধু!
গোয়ালের বাহিরে গরুগুলি গামলায় খাইতেছে খইল আর ভূষি, উঠানে ধান শুকাতে দিয়া কঞ্চি হাতে পাহারা দিতেছে বুড়ি দাসী বুঝি!
সন্ধ্যা আসি ঘনাইতেছে এই গ্রামটির ভিতর বাটির উঠোনে উঠোনে, মাদুর বিছায়ে পড়িতেছে পুঁথি চশমা চোখে দাদীজান সুরে সুরে! ইউসুফ- জুলেখার কাহিনী শুনাইতেছে চোখ দিয়া ঝরিতেছে পানি বলিতেছে জুলেখার করুণ সুরে, ‘কলেজা মে লাগাও ছুরি নিকাল যাও’ বুঝিবা সেই কয়েদী ইউসুফেরে!
ভুলি নাই আমি,ভুলি নাই সেই গ্রামটিরে আমার আসিয়াছি আমি,আসিয়াছি তাই তাহার নিকটে,ইহারেই দেখিবারে আবার!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
rakib uddin ahmed
আমি গ্রামান্চলে বসবাস করিনি।গ্রাম বলতে যতটুকু জানি -তা সব মিলিয়ে
দেড়-দু'মাস(উত্তরবঙ্গ আর ময়মনসিংহ),আর বই,পেপার-এতটুকুই।তবে আপনার কবিতার ফ্রেমে চমৎকার প্রষ্ফুটিত হতে দেখেছি গ্রামের চিত্রকে এক নজরেই।এবং কবিতাটি নিশ্চই ছিলো অনেক শ্রমসাধ্য।ধন্যবাদ
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।